April 30, 2025, 10:04 am

News Headline :
বসুন্দিয়া সম্পত্তির বিরোধের জেরে মামা-ভাগ্নের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা হয়েছ।  যশোরে চার বছরের এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ নিউজ বিডি জার্নালিস্ট নামের অনলাইন নিউজ পোর্টালে   ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদকের বিরুদ্ধে ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের নানা অভিযোগ সিরো নামের নিউজটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহিন নিউজটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।   ঢাকুরিয়া ইউনিয়নে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনের গাজা ও ভারতের কাগার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিপ্লবী ছাত্র – যুব আন্দোলন যশোর জেলা শাখার প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের স্থান যশোরে হবে না: এসপি রওনক জাহান যশোর সদর উপজেলার চাচড়ায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি আবু মুসার উপার হামলা  করেছেন আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরের ঢাকুরিয়ায় বিএনপি নেতা কমীর্কে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তিকামনা যশোরে ১২ বোতল বিদেশি মদ সহ গোলাম রাব্বানী নামে একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা সেনাবাহিনীর বন্দুকের নল আ’লীগ ফ্যাসিস পুলিশের দিকে তাক করেছিলো বলেই গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে : রাশেদ খাঁন
কালীগঞ্জে কাজীর সীল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিয়ে! শিক্ষকের নামে মামলা তদন্তে পিবিআই

কালীগঞ্জে কাজীর সীল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিয়ে! শিক্ষকের নামে মামলা তদন্তে পিবিআই

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারি নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে একাধিক বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ উপজেলার অনুপমপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার আব্দুল লতিফ ও মালিয়াট ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ সোলাইমান হোসেনের নামে আদালতে মামলা করেছেন প্রতারণার শিকার এক ভুক্তভোগী। মামলা নম্বর— কালীগঞ্জ সিআর—৮২৯/২৪। অভিযোগ উঠেছে, কালীগঞ্জের মালিয়াট ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ সোলাইমান হোসেনের সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এলাকায় একাধিক বিয়ে পড়িয়েছেন অভিযুক্ত ধূতবাজ আব্দুল লতিফ। সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি ছাড়াও ভুয়া নিকাহনামা সরবরাহ ও নিকাহনামায় উল্লেখ করা দেনমোহরের পরিমাণ টেম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে। মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জিয়ালা গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মিজানুরের সাথে ২০১৫ সালে কালীগঞ্জের মালিয়াট ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের আফিয়া বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে দাম্পত্য কলহের কারণে ২০১৭ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ২০১৮ সালে মিজানুর ও আফিয়া পারিবারিক ভাবে সমঝোতা ও সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আবারও দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। বিয়ে পড়ান কালীগঞ্জের অনুপমপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল লতিফ। ওই সময় নিকাহ রেজিস্ট্রার সোলাইমান হোসেন আব্দুল লতিফকে নিকাহ রেজিস্ট্রি করার জন্য দায়িত্ব দিয়ে বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নেন। পরে আব্দুল লতিফ বিয়ে রেজিস্ট্রি’র কাজ সম্পন্ন করেন। এজাহারে আরও বলা হয়েছে, বিয়ের পর মিজানুর রহমান তার স্ত্রী আফিয়াকে ১০ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করে চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আফিয়া খাতুন দুই সন্তান নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে আসেন এবং আদালতে মিজানুরের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পরে আফিয়া খাতুন নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) সোলাইমান হোসেনের সঙ্গে নিকাহনামার নকল কপি নেয়ার জন্য যোগাযোগ করেন। পরে আফিয়া খাতুন কাজী সোলাইমানের বাসায় নিকাহনামার নকল আনতে গিয়ে সেখানে আব্দুল লতিফকেও পেয়ে যান। ওই সময় আফিয়া খাতুন তার নিকাহনামার কপি চাইলে কাজী সোলাইমান হোসেন ও আব্দুল লতিফ তাকে জানান, আফিয়া—মিজানুর দম্পতির কোনো বিয়ে তারা রেজিস্ট্রি করেননি। এমনকি ওই বিয়ে তারা যে পড়িয়েছেন, সেটিও তারা অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় নানা ভাবে সমাধানের চেষ্টা করলেও মালিয়াট ইউনিয়নের কাজী ওই গৃহবধূর বিয়ে পড়াননি মর্মে প্রত্যায়ন পত্র দেন। পরে আব্দুল লতিফের কাছে নিজের বিয়ের কাবিননামা চান ভুক্তভোগী গৃহবধূ। এসময় আব্দুল লতিফ তা না দিয়ে উল্টো ওই নারীকে হুমকি ধামকি দেন। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে মালিয়াট ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার সোলায়মান হোসেন বর মিজানুর রহমানের কাছে লিখিত প্রত্যয়নপত্র মারফত জানান, ‘মিজানুর—আফিয়া’ দম্পতির বিয়ে তিনি পড়াননি। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগী নারীকে আব্দুল লতিফ যে নিকাহনামা সরবরাহ করেছিলেন, তার স্বাক্ষর ও সীল অস্বীকার করছেন নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. সোলায়মান হোসেন। এ নিয়ে শিক্ষক আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ করেছেন ওই নারী। একই অভিযোগে মামলার আসামি হয়েছেন কাজী মো. সোলাইমান হোসেনও। সিনিয়র জুডিশ্যল ম্যাজিস্ট্রেট কালীগঞ্জ আমলী আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে। বিয়ের সাক্ষী সদর উপজেলার মধুহাটী ইউনিয়নের জিয়ালা গ্রামের লুৎফর রহমান ও চান্দুয়ালি গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, তারা বিয়ের সময় উপিস্থত ছিলেন। ছেলে মেয়ের বিয়ে পড়ান আব্দুল লতিফ। দ্বিতীয় বিয়ের দেনমোহর ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল বলেও সাক্ষিরা দাবী করেন। মামলার পর আদালতের আদেশে ঘটনাটির তদন্ত করছেন ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি)। পিবিআই’র ওসি নাসির উদ্দিন রোববার জানান, মিজানুর—আফিয়া দম্পতি একাধিকবার নিজেরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের একটি সন্তান অন্ধ। যে কারণে শেষবার তাদের বিয়েতে নাকি দেনমোহর ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু নিকাহ রেজিস্ট্রার যে নিকাহনামা দিয়েছেন, তাতে নাকি আড়াই লাখ টাকা উল্লেখ করা আছে। এটা নিয়েই ক্ষুব্ধ হয়ে মামলা দিয়েছেন আফিয়া খাতুন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে কাজীর সহকারি আব্দুল লতিফ বলেন, মিজানুর—আফিয়ার বিয়ে আমি পড়িয়েছিলাম। কিন্তু কাজী সাহেব ব্যস্ত থাকায় আমাকে নিকাহনামা লেখার দায়িত্ব দিয়ে ওইদিন চলে যান। আমি নিকাহনামা লিখেছিলাম। বিয়ের কাবিননামায় দেনমোহর ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু পরে কাজী সাহেব একটি পক্ষের সাথে যোগসাজশ করে ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর দেখিয়েছে। কাজী সাহেব আমাকে ফাঁসিয়েছেন। নিকাহ রেজিষ্ট্রার কাজী মোঃ সোলাইমান হোসেন বলেন, মিজানুর—আফিয়ার বিয়ে আমি পড়ায়নি। কোনো বিয়ে রেজিস্ট্রিও করিনি। আমার সীল—স্বাক্ষর জাল করে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল লতিফ এই অপকর্ম করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2424
Design & Developed BY CodesHost Limited