যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের শ্রীপদ্দী গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আবু সাঈদের বিরুদ্ধে ঋষি সম্প্রদায়ের তিন পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুজন দাস বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াগাছা শ্রীপদ্দি দাসপাড়া গ্রামে সুজন দাস, ধীরেন কুমার দাস ও দীপক দাস প্রায় ৪০ বছর আগে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৫ শতক জমি ক্রয় করেন। কিন্তু সেসময় জমি বিক্রয়ের লিখিত কোন কাগজ দেননি তিনি। এরপর থেকে ওই তিনটি পরিবার সেখানে বসবাস করে আসছে। বর্তমানে ওই জমি নিজেদের দাবী করে হাফিজুর রহমান ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আবু সাঈদ ও তাদের সহযোগীরা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত ৫ এপ্রিল ও ৮ মে দুই দফায় সাঈদের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা তাদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। সুজন দাস, ধীরেন ও দীপক বাধা দিতে গেলে তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এসময় তিনটি বাড়ি ভেঙ্গে আগুন জ্বালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। একই সাথে সাত দিনের মধ্যে জমি ছেড়ে না গেলে তাদের পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে আবু সাঈদ।
এদিকে ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পাশের থাকার আশ্বাস দিয়েছেন জামায়াতের নেতৃবৃন্দরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর সদর থানা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আশরাফ আলীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ভুক্তভোগি পরিবার গুলোর সাথে দেখা করেন। এসময় আশরাফ আলী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরও একটি গোষ্ঠী সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতণ করে চলেছে। আমরা ভুক্তভোগী পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছি অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক না কেন দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিশ্চয় তাদের বিচার হবে। সটঃ অধ্যাপক আশরাফ আলী, আমির, যশোর সদর থানা জামায়াত
এদিকে মামলার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
কাজী বাবুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), কোতোয়ালী মডেল থানা
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আবু সাঈদের মুঠোফনে কয়েকদফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
Leave a Reply