June 12, 2025, 5:58 am
যশোর প্রতিনিধি:
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ৪ নাম্বার ঢাকুরিয়া ইউনিয়ানের কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো। এক সময় গ্রামবাংলার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা ও বয়স্ক ব্যক্তিরা তাদের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে বিভিন্ন ধরনের খেলা করে সময় কাটাতেন। ফুটবল, লবণ কোঠা, চোখ বেধে হাড়িভাঙ্গা,দড়াটানাটানি, মোরগ যুদ্ধ, খেলা ছিল অন্যতম। এসব খেলার কথা এখন শুধু মুখে মুখেই শোনা যায়। এসব খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে তাই এ খেলা গুলো ধরে রাখতে জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলার কিছু প্রচলন থাকলেও গ্রামাঞ্চল থেকে ঐতিহ্যবাহী এই খেলা প্রায় হারিয়ে গেছে। পূর্বে প্রতিটি গ্রামের স্কুলের মাঠ, বাড়ির পাশের খালি জমি, হাটবাজারের মাঠে প্রতিদিন বিকালে ফুটবল খেলা হতো। এসব প্রতিযোগিতায় রেডিও, গরু, ছাগল, খাসি, কাপ, স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদি উপহার দেওয়া হতো। একই রকম ছিল হা—ডু—ডু খেলার ঐতিহ্য। বর্তমানে ক্রিকেট খেলার কারণে সেই হা—ডু—ডু খেলাও হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমান প্রজন্মের সন্তানদের কাছে হা—ডু—ডুসহ ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো যেন রূপ কথার গল্পের মতো। এমন এক সময় ছিল যে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে খেলোয়াড় ভাড়া করে নেওয়া হতো।লুডুও ছিল অন্যতম খেলার মতো একটি প্রিয় খেলা। অবসর পেলেই ছোট—বড়, বৃদ্ধ—বৃদ্ধা, স্বামী—স্ত্রী গৃহবধূ সবাই নিজ ঘরের বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে লুডু খেলতে বসতেন। বৃষ্টি নামলেই লুডু খেলা আর খই ও তেল, মরিচ, পেঁয়াজ মাখানো মুড়ি খাওয়ার ধুম পড়ে যেত। তাস খেলাও একটি জনপ্রিয় শখের খেলা ছিল। মানুষ অবসর পেলেই আড্ডা আর তাস খেলায় মেতে উঠতো। তবে বর্তমানে তাস দিয়ে সর্বনাশা জুয়া খেলা হয় বলে এর ঐতিহ্য অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। লাটিম খুবই প্রাচীন একটা খেলা। এমন এক সময় ছিল যখন ছোট—বড় সবাই বিকাল হলেই লাটিম খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ত। লাটিম ঘোরার ভোঁ ভোঁ শব্দ মানুষের মনকে আনন্দ দিত।
একল খেলা ধরে রাখতে ইদুল আযহার পরের দিন বিকালে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ৪ নাম্বার ঢাকুরিয়া ইউনিয়ানের ৭ নাম্বার ওয়ার্ড ঢাকুরিয়া গ্রামের মাঠে এ খেলার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত কাল রবিবার বিকালে ঢাকুরিয়া ইউনিয়ানের ৭ নাম্বার ওয়ার্ড পচিমপাড়ার যুব সমাজের আয়োজনে যুব সমাজ কমিটির সভাপতি মো:রোস্তম আলির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মাইটিভির যশোর জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম,ঢাকুরিয়া প্রতাপকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: জালাল উদ্দিন,মাষ্টার শহিদুল ইসলাম,ভবানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ন কবির মিন্টু,পুলিশ কর্মকতার্ জাহিদুল ইসলাম জনি,মাষ্টার ইমরান হোসেন,আবু মুছা,জাকির হোসেনসহ স্থানিয় গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন
Leave a Reply